Ramjan Kareem |
রমজান শব্দটির অর্থ হল জ্বালিয়ে দেয়া ।
এ মাসে আল্লাহ্ তায়ালা গোনাহ সমূহকে জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেন বলেই এ মাসকে রমজান
বলা হয় । হাদিসে বর্ণিত আছে, "লোকজন যদি জানত,
রমযান কত বড় নেয়ামত তবে সারা বছর রমযান মাস থাকার জন্য আকাঙ্ক্ষা করত ।"
এ মাস সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে-
“রমযান মাস সে মাস, যে মাসে পবিত্র
কোরআন নাযিল হয়েছে, যা মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক ও যাতে রয়েছে হেদায়েতের
নিদর্শন সমূহ এবং যা হক বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী ।” [সুরাঃবাকারা,আয়াতঃ১৮৫]
বাকারায় আরও বর্ণিত আছে-
“হে মুমিন বান্দাহগণ! তোমাদের প্রতি
পবিত্র রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর ফরজ করা
হয়েছিল । যাতে তোমারা আল্লাহ ভিরু হও ।”
হযরত আবু হুরায়রা [রাঃ] হতে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসুল [সাঃ] বলেছেন-
“যখন রমজান মাস আসে তখন আকাশ ও জান্নাতের
দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়, শয়তানকে জিঞ্জিরে আবদ্ধ
করা হয় ।”
হযরত আবু হুরায়রা [রাঃ] হতে অন্য এক
হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল [সাঃ] বলেছেন-
“যখন রমজান মাস আগমন করে তখন খুসি ও
সচ্ছলতার সাথে আগমন করে । তা সর্বদাই পুন্য । কারন রাতে হল কিয়াম অর্থাৎ তারাবীর
নামাজ এবং দিবাভাগে হল রোজা । আর আ নাসে ভরন পোষণ ইত্যাদির জন্য খরচ করাও মহান
আল্লাহ্র পথে বায়্য করারই সমতুল্য ।”
অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে রাসুল [সাঃ] বর্ণনা করেছেন-
“বেহেস্তের দরজাসমূহ ও আকাশের দরজাসমূহ
রমজানের প্রথম রাতেই খুলে দেয়া হয় এবং রমজানের শেষ রাত ছাড়া আর তা বন্ধ করা হয় না
”
রাসুল [সাঃ] আরও বর্ণনা করেছেন যে, মহান আল্লাহ্ পাক ঘোষণা
করেছেন-
“রোযা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান
দেব।”
************************************************************************************************
রোযা রাখার নিয়তঃ “নাওয়াইতুয়ান আছুমা
গাদাম মিনশাহরি রামাদানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি
ইন্নাকা আনতাছ ছামিউল আলিম ।”
ইফতারে নিয়তঃ “আল্লাহ্হুম্মা
ছুমতুলাকা ওয়াতাওয়াক্কালতু আলা রিজকিকা ওয়াফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন
।”
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সকলকে রোযা রাখার এবং রমজানের গুরুত্ব
বুঝার তৌফিক দান করুন । আমিন*************************************************************************************************
No comments:
Post a Comment